পাটনা থেকে ঝাড়খণ্ডগামী যাত্রীবাহী ট্রেনে লাগলো আগুন। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের লক্ষ্মীসরাইয়ে। ভারতীয় রেল (Indian Railways) সূত্রের খবর, পাটনা থেকে ঝাড়খণ্ডগামী যাত্রীবাহী ট্রেনে র একটিকোচে আগুন ধরে যায়। তারপরে অন্য কোচটিকেও গ্রাস করে আগুনের লেলিহান শিখা। কিছুক্ষণের মধ্যেই বগিটি দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে। তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই কোচের যাত্রীরা ট্রেনের থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণে বাঁচেন। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন ট্রেনের দুটি বগিতেই ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখায় দুটি কোচ সম্পূর্ণ পুড়ে যায় বলে খবর।
এদিকে, ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন দমকল বাহিনী। কিউল জংশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঘটে এই দুর্ঘটনা। তবে, এখনও আগুন লাগার কারণ জানা সম্ভব হয়নি। ট্রেনে আগুন লাগার খবর পাওয়া মাত্রই দানাপুর বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা জানিয়েছেন, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই অগ্নিকান্ডে আপাতত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। বৃহস্পতিবার বিকেল ০৫:৪০ নাগাদ কিউল জংশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষারত ১৩০২৮ ডাউন পাটনা-ঝাড়খন্ড মেমু ট্রেনের একটি কোচে আগুন লেগে যায়। আগুন ধীরে ধীরে আরো একটি কোচে ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেনে আগুন লাগতে দেখে স্টেশনের যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার করতে শুরু করেন। কোচের সব যাত্রীরা প্রাণ বাঁচাতে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিয়ে এদিক ওদিক দৌড়াতে থাকেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিউল জংশনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। প্রচন্ড ধোঁয়ায় অনেকের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়। কিউল রেলওয়ে স্টেশনের প্রশাসনিক আধিকারিকদের কানে খবর পৌঁছাতেই আরপিএফ এবং ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তাঁদের দলবল নিয়ে প্রথমে সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে বলে খবর। আরপিএফ ইন্সপেক্টর অরবিন্দ কুমার সিং জানান, “ব্যাটারির প্যানেলে শর্ট সার্কিটের কারণেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুনের ঘটনার তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন দানাপুর বিভাগের রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও”। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোন প্রাণহানি হয়নি।
![](https://bangobarta.webbandhanofficial.com/wp-content/uploads/2024/06/train-1024x576.webp)