![](https://bangobarta.webbandhanofficial.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-10-at-11.50.09-AM.jpeg)
কথায় কথায় মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে ওদের অনেকের। ওরা বেশির ভাগই টিনএজার। স্কুলের উঁচু ক্লাসে পড়াশোনা করে। বয়স আর কতই বা! কারও ১৪-১৫ কেউ আবার একটু বেশি, ১৬-১৭, বড়জোর ১৮! মাথা গরম করে ঝগড়াঝাঁটি থেকে মারামারিতেও জড়িয়ে পড়ছে ওরা অহরহ। আবার অনেক সময়ে এই মাথা গরম করা থেকেই ঘটে যাচ্ছে প্রাণঘাতী নানা অঘটনও।মা-বাবা থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা, সবাই ওদের মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বটে, কিন্তু মাথা ঠান্ডা হবে কী ভাবে, সেটা তাঁদের অনেকেরই জানা নেই। এই সমস্যার প্রেক্ষিতেই এ বার একাদশ-দ্বাদশের সিলেবাসে ঢুকে পড়ল মাথা ঠান্ডা রাখার শিক্ষা! একাদশের স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষার সিলেবাসে বদল এসেছে।সিলেবাসে আনা হয়েছে ‘আবেগ সামলানোর দক্ষতা’ নামে একটি অধ্যায়। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দাবি, দেশের মধ্যে পাঠ্যক্রমে জীবনশৈলীর পাঠের গুরুত্ব নিয়ে সবিস্তার কাজ কেবল বাংলাতেই হয়েছে। এই বইয়ের অন্যতম সম্পাদক, শিক্ষক দীপেন বসুর কথায়, ‘বয়ঃসন্ধিকালে পড়ুয়ারা ব্যক্তিগত ও সমাজ জীবনে যে সব বিষয়ের সম্মুখীন হয়, সেগুলোকেই পাঠ্যক্রমে যতটা সম্ভব আনা হয়েছে।নতুন সিলেবাসে মাথা ঠান্ডা রাখার নানা টোটকা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, রাগ-দুঃখ-অভিমান-ঈর্ষা-হতাশার কারণগুলোকে চিহ্নিত করার কথাও বলা হয়েছে। কী ভাবে মিলেমিশে একসঙ্গে থাকতে হয়, অন্যদের সঙ্গে সুসম্পর্ক কী ভাবে বজায় রাখতে হয়, সে সবই রয়েছে এই অধ্যায়ে।নতুন সিলেবাসে মাথা ঠান্ডা রাখার নানা টোটকা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, রাগ-দুঃখ-অভিমান-ঈর্ষা-হতাশার কারণগুলোকে চিহ্নিত করার কথাও বলা হয়েছে। কী ভাবে মিলেমিশে একসঙ্গে থাকতে হয়, অন্যদের সঙ্গে সুসম্পর্ক কী ভাবে বজায় রাখতে হয়, সে সবই রয়েছে এই অধ্যায়ে।টাকি বয়েজ় স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা স্বাগতা বসাকের বক্তব্য, ‘আজকাল বহু বাচ্চা একটুতেই খুব অধৈর্য হয়ে পড়ছে। প্রায় সারাক্ষণই মাথা গরম করে ফেলছে। মারামারি, ঝগড়াঝাঁটি এ সব খুবই বেড়ে গিয়েছে ক্লাসে। এমনকী, পড়ুয়াদের একাংশ নেশার কবলেও পড়েছে। ওদের সঠিক পথের দিশা দিতে এই ধরনের সিলেবাসের খুবই প্রয়োজন ছিল।’স্বাগতার কথাকেই মান্যতা দিয়ে সিলেবাসে শরীর ও মনকে সুস্থ রাখার জন্য যোগাসন, খেলাধুলো, ঠিক সময়ে ঘুমোনো, বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক ও সৃষ্টিশীল কাজে যুক্ত হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধানশিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্যর কথায়, ‘বহু ছেলেমেয়ের মধ্যে দেখছি, অন্যের চোখে নিজেকে প্রমাণ করার দায় খুব বেশি। আর সেটা যখনই মনমতো হচ্ছে না, তখনই ওদের আবেগ একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। আবেগকে নিয়ন্ত্রণে না-আনতে পেরে বহু ছাত্রছাত্রীই বিপথে যাচ্ছে, প্রাণঘাতী আচরণ করছে এবং অঘটনও ঘটছে। সে সবই নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি।’
![](https://bangobarta.webbandhanofficial.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-10-at-11.49.49-AM-1024x768.jpeg)
![](https://bangobarta.webbandhanofficial.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-10-at-11.50.10-AM-1.jpeg)
![](https://bangobarta.webbandhanofficial.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-10-at-11.50.09-AM-1024x768.jpeg)