![](https://bangobarta.webbandhanofficial.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-10-at-12.21.27-PM.jpeg)
নদীর নাম সরস্বতী। ত্রিবেণীতে হুগলি নদী থেকে উৎপত্তি, মোহনা সাঁকরাইলে— হুগলি নদীতেই। বাংলার এই সরস্বতী একসময় গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রধান নদী ছিল। যাতায়াত, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সভ্যতার বিস্তার—সবের পিছনেই অবদান ছিল এই নদীর। এমনকি, পর্তুগিজরাও সপ্তগ্রামে প্রথম এসেছিল সরস্বতী-পথ ধরেই।ছবিতে সরস্বতীর বর্তমান অবস্থা। খালে পরিণত হয়েছে প্রায় ৩০/৪০ বছর আগে থেকেই। ষোড়শ শতাব্দী থেকেই নদীটি মরে আসতে শুরু করে, দু-এক শতাব্দীর মধ্যেই হারিয়ে ফেলে গুরুত্ব। পতন হয় সপ্তগ্রামেরও।আজ নদীটির চারপাশে ঘন জনবসতি। জায়গায়-জায়গায় পানা, স্রোত নেই বললেই চলে। দীর্ঘশ্বাস জাগে দেখে। অতীতে কয়েকবার সংস্কার করা হলেও বিশেষ লাভ হয়নি। ভবিষ্যতেও হবে বলে মনে হয় না।অথচ এই নদীপাড়ের সপ্তগ্রাম সম্পর্কেই ১৫৮৬ খ্রিস্টাব্দে র্যালফ ফিচ লিখেছিলেন – ‘…Here in Bengals they have every day in one place or other a great market, and they have many great boats, wherewithal they go from place to place and buy rice and many other things.’ এমনকি ১৪৯৫ খ্রিস্টাব্দে বিপ্রদাস পিপিলাই-এরও বক্তব্য – ‘অভিনব সুরপুরী/ দেখি ঘর সারি সারি/ প্রতি ঘরে কনকের বারা।’সপ্তগ্রাম তখন দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের রাজধানী। সাতগাঁও সরকারের নাম আবুল ফজলের ‘আইন-ই-আকবরী’-তেও। একটিমাত্র নদীর মৃত্যুতে পতন ঘটল এমন সমৃদ্ধ জনপদের। ইতিহাস সেসবের সাক্ষী…
![](https://bangobarta.webbandhanofficial.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-10-at-12.21.27-PM-768x1024.jpeg)