আবারও গঠিত হতে চলেছে তরুণ ব্যানার্জীর নেতৃত্বে স্যোসালিস্ট পার্টি

সমগ্র বিশ্বে পুঁজিবাদী, কমিউনিজম এবং স্যোসালিজম এই তিনটি মতাদর্শ প্রচলিত। আবার এই তিনটি মতাদর্শকে হাতিয়ার করে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। তবে কমিউনিজিম ও স্যোসালিজিম সবচাইতে জনপ্রিয়। আর ঠিক সেই কারণেই আন্তর্জাতিক স্তরে একমাত্র দুটি আন্তর্জাতিক পার্টি অর্থাৎ দুটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক দল বিদ্যমান। (এক) কমিউনিস্ট পার্টি আর (দুই) স্যোসালিস্ট পার্টি।
আমাদের ভারতে সেই ভাবে সফল না হলেও বিভিন্ন মতাদর্শকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি কমিউনিস্ট পার্টি রয়েছে। তার মধ্যে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী), ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী লেনিনবাদী), এস ইউ সি আই কমিউনিস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে স্যোসালিজিমকে আদর্শ মেনে করে ত্রিদিব চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত হয় আর এস পি অর্থাৎ রিভিলিউশনারি স্যোসালিস্ট পার্টি। আবার ভারতে সমাজবাদী আদর্শে আদর্শিত হয়ে জয় প্রকাশ নারায়নের হাত ধরে সমাজবাদী চিন্তায় গড়ে ওঠে সমাজবাদী পার্টি। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে কার্ল মার্কস, লেনিন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভগত্ সিং এর আদর্শে আবারও গঠিত হতে চলেছে তরুণ ব্যানার্জীর নেতৃত্বে স্যোসালিস্ট পার্টি। বিঙ্গান, সমাজবাদী চিন্তাধারায় বিশ্বাসী তরুণ ব্যানার্জীকে সবাই তরুণ ভারত বলেই চেনেন এবং তরুণ ব্যানার্জী নিজেকে তরুণ ভারত বলে পরিচয় দিতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। তরুণ বাবু বিভিন্ন সময়ে কলকাতার মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই স্যোসালিস্ট পার্টি আবারও গঠনের কথা শুনে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সমাজবাদী চিন্তাধারার মানুষ তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ কেন, ভারত তথা সুদূর বিদেশের মাটি থেকে স্যোসালিস্ট পার্টির নেতারা তরুণ (ভারত) ব্যানার্জীর সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি একটি দশজনের কমিটিও গঠন করে ফেলেছেন। যদিও সেই দশজনের কমিটি থাকা সদস্যদের নাম এখনও জনসমক্ষে আনা হয় নি। এই ব্যাপারে তরুণ বাবু জানান তিনি খুবই মেপে মেপে পা ফেলছেন। খুব তাড়াতাড়িই এক সাংবাদিক সম্মেলনে সেই সব নাম প্রকাশ করা হবে। তরুণ বাবু এও বলেছেন যে আগামী দিনে বিভিন্ন কর্মসূচি তিনি এবং তাঁর দল স্যোসালিস্ট পার্টি গ্রহণ করতে চলেছে। আগামীতে পশ্চিমবঙ্গের কোন একটি জেলায় পার্টি কনফারেন্সের আয়োজন করা হবে। রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির থেকে তিনি ও তাঁর দল স্যোসালিস্ট পার্টি দূরে সরে থাকতে চায়। তবে তিনি এ কথাও বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী আদর্শে বিশ্বাসী ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি সবচাইতে বেশি ভয়ঙ্কর।
এবার দেখার বিষয় এই আগামীতে তরুণ (ভারত) ব্যানার্জী তাঁর দল স্যোসালিস্ট পার্টিকে কতটা মানুষের সামনে তুলে ধরতে পারেন, শেষ উত্তর দেবে মানুষ।